এই পোস্টটি আপনার জন্য নয় যদি আপনি ধর্মের [ধর্ম বলতে শুধুমাত্র ইসলামকে নয় সকল ধর্মকে বুঝানো হয়েছে] বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনায় যুক্ত হতে আগ্রহী না হন। . সার্ভ হিউম্যান ফাউন্ডেশন এর পরিচালনায় সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক পাঠচক্র “কোরআন ও বিজ্ঞান” আলোচনা পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। পাঠচক্রের এই নিয়মিত ও সিরিজ আলোচনায় উদ্বোধনী প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- প্রফেসর ড. এম শমশের আলী। . বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম শমশের আলী ১৯৩৭ সালের ২১ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকায় আনবিক শক্তি কমিশনে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে যোগ দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি এ প্রতিষ্ঠানের নানা পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি অসামান্য একাডেমিক ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি প্রফেসর-এর বিরল সম্মানে ভূষিত করেন। . পরবর্তীতে ১৯৮২ থেকে দু-যুগ তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য। পরবর্তীতে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। . বিজ্ঞান ও ধর্ম জগতে খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব আল্লামা প্রফেসর এম শমশের আলী বিশ্বের তিনটি সায়েন্স একাডেমি ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স একাডেমি অব সায়েন্স অব দি ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এর ফেলো (প্রেসিডেন্ট : ২০০৪-২০১২)। . এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো। বিজ্ঞানভাবনা প্রসারে সদা-উৎসাহী প্রফেসর এম শমশের আলী টানা এক যুগ বিটিভি-তে বিজ্ঞান বিচিত্রা ও নতুন দিগন্ত নামে দুটি নতুন ধারার শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে সিরিজ লেকচার প্রদান করেন বিবিসি-তে। . বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মাঝে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স ও ইতালির থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক অব সায়েন্টিফিক অর্গানাইজেশনের সম্মাননা। . বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি ভূষিত হয়েছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা ও পুরস্কারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিপ্রসন্ন রায় স্বর্ণপদক বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স স্বর্ণপদক জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক এর অন্যতম। . দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথম সারির সায়েন্টিফিক জার্নালগুলাতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা। এছাড়াও বিজ্ঞান, গণিত ও ইসলাম নিয়ে লিখেছেন বহু আলোচিত গ্রন্থ। আল্লামা প্রফেসর ড. এম শমশের আলী এমন একজন মানুষ যিনি চেনা ছকের বাইরে এসে দেখতে শিখেছেন মানুষ ও প্রকৃতিকে। বন্ধু ও কাছের মানুষেরা তাকে অভিহিত করেন A man with a large antenna বলে। বিজ্ঞানের পাশাপাশি কবিতা, সংগীত, সাহিত্য ও ধর্ম তাঁর বিশেষ আগ্রহের বিষয়। . আবেদনের শেষ তারিখঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ প্রফেসর ড. এম শমশের আলীর সাথে সরাসরি উদ্বোধনী আলোচনায় যুক্ত হবার জন্য Apply Now বাটনে ক্লিক করুন- আবেদনকারীদের মধ্য হতে সীমিত সংখ্যক আবেদনকারীকে সার্ভ হিউম্যান ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রফেসর ড. এম শমশের আলীর উদ্বোধনী আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহনের সুযোগ প্রদান করা হবে।রুন.